যশোরে
মনিরামপুর উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের ঘেরের মাছ মনে করে জামায়াতের চার নেতার
আলম সাধু ভর্তি মাছ ছিনতাইয়ের পর স্থানীয় বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মাছ ছিনতাইয়ের
ঘটনায় মাছের চার মালিক বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন।
শনিবার (১৮
জানুয়ারি) দুপুরে
কালিবাড়ি থেকে কপালিয়া বাজারে মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে আলমসাধু ভর্তি মাছ আড়তে নেওয়ার পথে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা
ঘটেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই রাতে সালিশি
সভার মাধ্যমে কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা
জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বাড়ি উপজেলার দুবাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাহিরঘরিয়া গ্রামে। স্থানীয় ঘুঘুদহ গ্রামে তার একটি মাছের ঘের রয়েছে। ৫ আগস্টের পর
মাছের ঘেরের দেখভাল করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তারা মাছ বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা বাধা দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন তারা মাছ ধরে বিক্রির জন্য কপালিয়া বাজারে পাঠায়।
এদিকে
একই সময় জামায়াতের চার নেতা মাও. আবুল বাশার, মাও. লিয়াকত আলী, মাও. আলী হাসান ও মাও. হাশেম
আলীর মালিকানাধীন ঘের থেকে মাছ ধরে আলম সাধুতে করে কালিবাড়ি থেকে কপালিয়া বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেওয়ার পথে তাদের মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়
জামায়াত নেতা মাও. আবু নসর জানান, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭-৮ জন
যুবক আলম সাধু ভর্তি মাছের গাড়িসহ চালককে আটকায়। এসময় মাছের মালিক জামায়াতের চার নেতার নাম বললেও তারা কর্ণপাত করেনি। মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সবাই বিএনপির কর্মী বলে তারা প্রকাশ করে। দুপুরে রাস্তা থেকে মাছ লুট করে তা কপালিয়া বাজারে
বিক্রি করে। লুট হওয়া মাছের বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
নেহালপুর
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান জানান, জামায়াত নেতা লিয়াকত আলীর মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে তারা তৎপর হন। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মাহবুব ও রাজিব নামের
দুইজনকে চিহ্নিত করে মাছ বিক্রির টাকা উদ্ধার করে লিয়াকত আলীর কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। মাহাবুব ও রাজিব বিএনপির
রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলার
কুলটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবু নসর বলেন, এলাকায় তাদের তিনটি মাছের ঘের রয়েছে। উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর লিয়াকত আলীসহ কয়েকজন মাছের চাষ করেন। শনিবার ঘের থেকে ১৮-২০ মণ
মাছ ধরে আলম সাধুতে কপালিয়া বাজারে আড়তে পাঠানো হয়। রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে মাছ বিক্রির ৮৯ হাজার টাকা
উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে থানায়
অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
এ
বিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনা জানা নেই। কেউ অভিযোগও দেয়নি।